Posts

Showing posts from 2019

"গল্পটা একটু ভিন্নরকম"

Image
মানুষ স্বপ্ন নিয়েই বেঁচে থাকে। একটি স্বপ্ন পূরণ হলে আরেকটি স্বপ্ন দেখা শুরু করে দিই আমরা। তাইতো অনেক মনস্তাত্ত্বিক স্বপকে বেঁচে থাকার আত্মা বলে অভিহিত করেছেন। স্বপ্ন দেখতে কেনা চাই! তবে সব স্বপ্ন কিন্তু স্বপ্ন না। ভাবছেন এটা আবার কেমন কথা! হাঁ এটাই খাঁটি সত্য। আমরা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে যে স্বপ্ন দেখি, সেটাও স্বপ্ন বটে কিন্তু সে স্বপ্নে আমাদের কোন হাত থাকে না। এটা নামে স্বপ্ন মাত্র। আসল স্বপ্ন হলো সেটা যেটা পূরনের ইচ্ছা মানুষকে কুড়ে কুড়ে খায়, ঘুমাতে দেয় না। তবে আমরা আমাদের স্বপ্ন পূরণের জন্য বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে স্বপ্ন দেখি। এক জনের স্বপ্নের সাথে অন্য জনের স্বপ্ন একটু হলেও ভিন্ন হবে। আমার মতে একজনের সাথে অন্যজনের স্বপ্ন পুরোটাই আলাদা হয়ে থাকে। আজ এমনই এক গল্প বলব আপনাদের মাঝে। চলে গেলাম এখন থেকে পনেরো বছর আগে। আমরা তখন ক্লাস ফাইভে পড়তাম। আমার ঘনিষ্ঠ দুই বন্ধু ছিল। নাম ছিল বুলবুল আর বাবুল। একসাথে খেলতাম, একসাথে স্কুল যেতাম, একসাথে গোসল করতাম- আরো কত কি? হাঁ আমাদের সাথে যে আর সহপাঠী থাকতো না, তা কিন্তু নয়। আমরা অনেকেই দল বেঁধে স্কুল যেতাম, একসঙ্গে খেলতামও সবাই। কিন্তু আমরা তিনজনে...

এক অস্ফুট মায়া

Image
রবিন। গ্রামের সকলেই ডাকে রবিনহুড বলে । বয়স এগারোর কাছাকাছি । রাস্তাতেই সে বড় হয়েছে । তার কোন আত্মীয় কিংবা পরিবারের কোন সদস্য ছিল না । তার মা ছিল পাগলী । নাম ছিল জয়নাব আক্তার রেখা । তাই গ্রামের লোকজন তাকে রেখা পাগলী বলে ডাকত । পাগলী হলে কি হবে সে কিন্তু তার ছেলে রবিনকে খুব ভালোবাসতো । এক মুহূর্তের জন্যেও চোখের আড়াল করতে দিত না । এইতো কয়েকদিনের ঘটনা - গ্রামের কিছু মানুষ তার ছেলেকে কেড়ে নিবে বলে ভয় দেখাচ্ছিল । তার ছেলের কাছে ভিড়তেই সে ইট ছুড়ে একজনের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল। সেইদিন গ্রামের মাতব্বর নুরুল হক তাকে মেরে মেরে পুরো শরীর রক্তাক্ত করে দিয়েছিল। ছোট্ট রবিন সেদিন অনেক কেঁদেছিল।হয়ত তার মায়ের শরীরের প্রত্যেকটি বেতের আঘাত সেও পেয়েছিল আর নয়ত বড় হয়ে এই অন্যায়ের তীব্র প্রতিবাদ করার প্রতিজ্ঞা নিয়েছিল। রবিনের মা কিভাবে মারা গিয়েছিল সেটা কেউ জানে না। তাকে যে মেরে  ফেলা হয়েছিল এ কথা কারও অজানা ছিল না।  বিচারের ঠিক দুই সপ্তাহ পর হঠাৎ করেই রবিনের মা মারা যান। ছোট্ট শিশুটি তার মায়ের আচল ধরে বারবার হেচকা টান দিচ্ছিল আর কেদে কেদে বোধহয় এটাই বলছিল- আমাকে ক্ষুধা লেগে আছে আর তুমি এখনো ঘুম পা...

"ফিঙে আর কাক"

Image
ছোটবেলায় কাক আর ফিঙে পাখির গল্প শুনেছিলাম । একদিন কি যেন নিয়ে তাদের মধ্যে খুবই ঝগড়া চলছিল । কাক বলল আমিই পাখিদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী পাখি । আমার মতো বড় আর শক্তিশালী পাখি এই বনে একটাও খুঁজে পাওয়া যাবে না ।ফিঙে বলল, উচ্চতা কিংবা শরীরের গঠন দেখে শক্তি মাপা যায় না । পরিশ্রম দিয়ে শক্তি মাপতে হয় । বনের সকল পাখি তাদের ঝগড়া পর্যবেক্ষণ করছিল। আর সত্যি বলতে কি, কাককে দেখে সবাই ভয়ও করত । কারণ কাকের কথা কেও অমান্য করলে বা তার কথা মেনে না নিলে , সে তাদের উপর নির্যাতন শুরু করত । এমনকি তাদের বাসা ভেঙে দিত, ডিম খেয়ে ফেলত, বাচ্চা মেরে ফেলত-- আরো কত কি!! তো সব পাখি সিদ্ধান্ত নিলো এই সুযোগে আমাদের কিছু একটা করতে হবে। আর এই গুরুভার দেওয়া হলো টুনটুনি পাখিকে।কারণ কাক টুনটুনির নাচ খুব পছন্দ করত।সে যদি একটা ভুল করেও ফেলে, কাক সেটা কিছু মনে করে না।তাই দায়িত্বটা তাকেই দেওয়া হলো।তো সকল পাখিকে সঙ্গে করে টুনটুনি কাক আর ফিঙে পাখির কাছে উপস্থিত হলো। টুনটুনি বলল, মহারাজা কাক যদি একটু ভরসা দিতেন তো ঝগড়াটা নিরসনের জন্য আমি একটা কথা বলতাম। সকল পাখি সম্মত দিলো যে তাকে বলতে দেওয়া হোক। সকল পখির সমস্বর শুনে কাক আর ...